কক্সবাজারে নোনাজল ও বালুচরে মেতেছে ভ্রমণপিপাসুরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি •

লোকে লোকারণ্য বিশে^র র্দীঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজারে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নামছে সাগরতীরে। পরিবার-পরিজন বা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে মেতে উঠেছেন সাগরের নোনাজলে। হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, বুকিং বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড়ছে পর্যটকের আগমনও। আর পর্যটকের আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আর তার সামনে বিশাল বালিয়াড়ি। নোনাজল আর বালিয়াড়িতে কমতি নেই মানুষের। ভ্রমনপিপাসুদের পদচারণা মুখর সাগরতীর। শুক্রবার (০৪ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এমন পর্যটকের ঢল সৈকত শহর কক্সবাজারে।

পর্যটকরা কেউ সাগর ঘুরছেন ওয়াটার বাইকে, কেউ চড়ছেন ঘোড়াতে; আবার কেউ কেউ টিউব নিয়ে গা ভাসাচ্ছে নোনাজলে। সবার মাঝেই বিরাজ করছে বাঁধভাঙা উচ্ছাস।
আগত পর্যটক কায় কি¯øু বলেন, কর্মজীবনে সময় হয়ে উঠে না পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন নিয়ে সৈকতে ছুটে এলাম। সবাইকে নিয়ে বেশ মজা করছি।

আরেক পর্যটক আব্দুল্লাহ আল বাকির বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে বালুচরে পা ফেলতেও কষ্ট হচ্ছে। কারণ অনেক মানুষ। বালুচরে এদিক-ওদিক হাটা-হাটি করে শেষ পর্যন্ত সুগন্ধা পয়েন্ট ফেলে একটু ফাঁকা স্থানে এসে বালিয়াড়িতে বসে সমুদ্র উপভোগ করছি। দারুণ লাগছে, তবে মানুষ একটু কম হলে ভালো হত।

সৈকতের পাশাপাশি পর্যটকদের পদচারণা রয়েছে হোটেল মোটেল জোন ও পর্যটন স্পটগুলোতে। তাই সবখানেই পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে দাবি ট্যুরিস্ট পুলিশের।

ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ জসিম বলেন, করোনার বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ বাড়ছে। পর্যটকরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বও বেড়ে গেছে। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটন স্পট ও হোটেল মোটেল জোনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যার কারণে পর্যটকরা আনন্দে কক্সবাজার ভ্রমণ করছেন।

আর তারকামানের হোটেলগুলো বলছে; করোনার বিধি-নিষেধ ওঠে যাওয়ায় পর্যটকের আগমন বাড়ছে কক্সবাজারে।
তারকামানের হোটেল সী-গালের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার মোহাম্মদ তারেক বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের বুকিং বাড়ছে। আশা করি, বিধি-নিষেধ আর না থাকলেও দিন দিন পর্যটকের আগমন বাড়বে। ফলে করোনার লোকসানও দ্রæত কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকরা ঘুরছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, পাতুয়ারটেক ও হিমছড়িতে।